Categories
শিরোনাম

আইভীকে হত্যার চেষ্টা, মানবদেয়াল করে রক্ষা

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে প্রকাশ্য রাস্তায় পিটিয়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু সমর্থকরা মানবদেয়াল তৈরি করে লাঠি ও ইটপাটকেলের আঘাত সহ্য করে মেয়রকে প্রাণে রক্ষা করেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে এই ঘটনা ঘটে।

বিকেল ৪টা থেকে হকার ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সমর্থকদের সঙ্গে মেয়রের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ২ নম্বর রেল গেইট এলাকা থেকে চাষাঢ়া এলাকা পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই সংঘর্ষ। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। এ ঘটনায় নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ প্রায় ৩০০ ফাঁকা গুলি ও বেশ কিছু কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে।

এ ঘটনায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার চেয়েছেন মেয়র আইভী। বিষয়টি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করবেন বলেও জানিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিকেল ৪টার দিকে মেয়র আইভী নগর ভবন থেকে বের হয়ে নগরীর বঙ্গবন্ধু রোডের ফুটপাত দিকে হাঁটতে শুরু করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারী ও বেশ কিছু সমর্থক ছিলেন। পুলিশও তাঁদের সঙ্গে থাকে। একপর্যায়ে আইভীর সমর্থকরা ফুটপাতে হকারদের বসতে নিষেধ করলে প্রথমে হকাররা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তখন হকারদের সঙ্গে আইভীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। চাষাঢ়া এলাকায় শামীম ওসমানের সমর্থকরা হকারদের সঙ্গে যোগ দেয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে হকার ও শামীম ওসমান সমর্থকদের হামলার মুখে মেয়র আইভী বঙ্গবন্ধু সড়কে অনড় অবস্থান করেন। এ সময় তারা মেয়র আইভীর ওপর হামলা চালালে সমর্থকরা  মানবদেয়াল তৈরি করে তাঁকে ঢেকে রাখে। এ সময় তাদের ছোড়া ঢিলে মেয়র আইভী আহত হন।

পরে হকারদের সমর্থনে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান রাজপথে নেমে আসেন। তিনি হকারদের পক্ষ নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থান করেন। এ সময় আহত আইভী নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে অবস্থান নেন। পরে আইভীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

পুলিশ প্রায় ৩০০ ফাঁকা গুলি ও বেশ কিছু কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর থেকে এখনো নারায়ণগঞ্জে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মেয়র আইভী অভিযোগ করেছেন, শামীম ওসমানের নির্দেশে তাঁর বাহিনী হঠাৎ করে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়ে গুলি ছুড়ে। তিনি দাবি করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল কাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আবু সুফিয়ান, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জ্বল, শহিদুল্লাহসহ ৩০ জন আহত হয়।

আইভী আরো বলেছেন, ফুটপাথ জনগণের জন্য মুক্ত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে শামীম ওসমান একজন এমপি হয়ে কীভাবে ফুটপাথে হকারদের বসার নির্দেশ দেন। গতকাল শামীম ওসমান নগরীর চাষাঢ়ায় জনসভা করে হকারদের বসার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তাঁর পক্ষ নেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার একটি গার্মেন্টস কারখানায় গিয়ে মিটিং করেন।

আইভী অভিযোগ করে আরো বলেন, শামীম ওসমান লাশের রাজনীতি করেন। তিনি মেধাবী ছাত্র ত্বকীকে হত্যা করেছেন। তাঁর ভাতিজা আজমেরী ওসমান নাট্যকার চঞ্চলকে হত্যা করেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, হকার্স উচ্ছেদ করে  মেয়র আইভী অন্যায় করেছেন। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে হকার্সদের বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বসার নির্দেশ দিয়েছেন।

Categories
শিরোনাম

ঝিনাইদহ-৩ এ বিএনপির প্রার্থী মনির খানসহ ৩৬ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রায় এক যুগ ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবার আগেভাগেই দলের সম্ভাব্যপ্রার্থীদের একটি প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে। তালিকায় রয়েছে অনেক চমক। এবার ঝিনাইদহ-৩ এ বিএনপির প্রার্থী কন্ঠশিল্পি মনির খান। এ নিয়ে দলের মধ্যেও বিরাজ করছে চাঙাভাব। এলাকায়ও শুরু হয়েছে নেতাদের নির্বাচনী তৎপরতা। সম্ভাব্য এসব প্রার্থীদের নিয়ে আজ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৩৬টি সংসদীয় আসনের ৯২ প্রার্থীর তালিকা তুলে ধরা হলো।
খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলা) : এ আসনে বিএনপির প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকায় আছে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ ও স্থানীয় বিএনপি নেতা লাতিফুর রহমান লাবু।
খুলনা-২ (সদর থানা ও সোনাডাঙ্গা) : মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও আরেক সাবেক এমপি আলী আজগর লবী।
খুলনা-৩ (খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা) : খুলনা মহানগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এসএম আরিফুর রহমান মিঠু, সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম বকুল ও নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সেকেন্দার ডালিম।
খুলনা-৪ (রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া) : বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, আইটি বিষয়ক সম্পাদক শাহ কামাল তাজ ও জেলা সভাপতি শফিউল আলম মানা।
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া ও ফুলতলা) : বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মামুন রহমান, সাবেক এমপি গাজী আব্দুল হক ও উপজেলা নেতা খান আলী মুনসুর।
খুলনা-৬ (কয়রা ও পাইকগাছা) : কয়রা থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু।
বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) : সাবেক এমপি জেলা বিএনপি বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা শেখ মুজিবর রহমান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড. সেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু।
বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) : জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম।
বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মংলা) : জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ড. ফরিদুল ইসলাম।
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) : জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও সহ-সভাপতি এমএ খালেক।
যশোর-১ (শার্শা) : স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মহাসিন কবির, জেলার সহ-সভাপতি শামসুর রহমান, শার্শা উপজেলা সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহির।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) : ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নী, জেলার সহ-সভাপতি অ্যাড. মো. ইসহক, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, চৌগাছার সভাপতি জহুরুল ইসলাম ও ঝিকরগাছার সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা এলাহী টিপু।
যশোর-৩ (সদর) : বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম অসুস্থতাজনিত কারণে প্রার্থী না হলে তার স্ত্রী নার্গিস বেগম অথবা পুত্র, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) : বাঘারপাড়া সভাপতি বিএনপি টিএস আইয়ুব, অভয়নগর বিএনপি সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, বাঘারপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকী।
যশোর-৫ (মনিরামপুর) : মণিনরামপুর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শহীদ ইকবাল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মুসা, জিয়া পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব শরিফুজ্জামান খান।
যশোর-৬ (কেশবপুর) : বিএনপির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেশবপুরের সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দল সিনিয়র সহ-সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) : সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওহাব, খুলনা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান।
ঝিনাইদহ-২ (হরিনাকুন্ডু ও সদরের কিছু অংশ) : বিএনপির একক প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মশিউর রহমান।

ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর) : কোটচাঁদপুর থানা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমান মোমিন
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের বাকি অংশ) : সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান বেল্টু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।
মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) : একক প্রার্থী সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) : সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও সহসভাপতি জাবেদ মাসুদ মিলটন।
মাগুরা-১ (শ্রীপুর ও সদরের কিছু অংশ) : জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কবির মুরাদ, জেলার সদস্য মনোয়ার হোসেন খান ও স্থানীয় নেতা ইকবাল আক্তার খান।
মাগুরা-২ (মহম্মদপুর ও সদরের বাকি অংশ) : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সলিমুল হক।
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) : সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও তালা উপজেলা ছাত্র দলের প্রাক্তন সভাপতি মো. বদিরুজ্জামান বদরু।
সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর) : জেলা বিএনপির সভাপতি রহমাতুল্লাহ পলাশ, সহ-সভাপতি আব্দুল আলীম ও পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি।
সাতক্ষীরা-৩ (দেবহাটা, আশাশুনি ও কালীগঞ্জের চারটি ইউনিয়ন) : কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহীদুল আলম, সাবেক এমপি আলহাজ কাজী আলাউদ্দিন ও বিএনপি নেতা অ্যাড. বরুন বিশ্বাস।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালীগঞ্জের আটটি ইউনিয়ন) : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী।
নড়াইল-১ (কালিয়া ও সদরের কিছু অংশ) : জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর ও সাবেক ছাত্র নেতা গৌতম মিত্র।
নড়াইল-২ (লোহাগড়া ও সদরের বাকি অংশ) : সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ. কাদের শিকদার, সাবেক পৌর মেয়র জুলফিকার আলী ম-ল ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম।
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) : সাবেক এমপি উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু ও জেলা বিএনপির সদস্য আলতাফ হোসেন।
কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা ও মিরপুর) : সাবেক এমপি অধ্যাপক শাহিদুল ইসলাম ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাকিব রোফ চৌধুরী।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) : জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন ও স্থানীয় নেতা ড. তালাত কোরেশী।
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী ও খোকশা) : সাবেক এমপি জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদি হাসান রুমি এবং সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম প্রামাণিক।
চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদরের কিছু অংশ) : বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, সদস্য মো. শরিফুজ্জামান শরিফ ও লে. ক. (অব.) কামরুজ্জামান।
চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা, জীবননগর ও সদরের বাকি অংশ) : জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহামুদুল হাসান খাঁন বাবু ও সদস্য মো. মোখলেছুর রহমার টিপু তরফদার।
Categories
শিরোনাম

ইজতেমায় বাস দিয়ে মন খারাপ ডিপজলের

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার থেকে। লাখ লাখ বিদেশি ছাড়াও দেশের ৩২টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ নেবেন। এরই মধ্যে বিশ্ব ইজতেমার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ইজতেমার যাত্রীদের আসা-যাওয়ার জন্য চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ডিপজল এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে ৫০টি বাস দেবেন এবং সেটা বিনামূল্যে।

এ বিষয়ে ডিপজল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি ইজতেমায় ৫০টি বাস দিতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আল্লাহ অনেক মানুষকে অনেক কিছুই দিয়েছেন; কিন্তু তা মানুষের কল্যাণে কতটা কাজে লাগে। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আমার ৫০টি বাস দেশের ৩২টি জেলায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিয়ে আসবে এবং ইজতেমা শেষে সেখানে নামিয়ে দেবে। পথে যদি কারো কোনো সমস্যা হয়, তা হলে আমার বাসে লোক আছে, তাঁরা সেটি সমাধান করবেন।’

বাসের সংখ্যা নিয়ে মন খারাপ করে ডিপজল বলেন, ‘আমি কয়েক বছর ধরে বাসের ব্যবসা করছি। তখন থেকেই ইজতেমায় বাস দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু আমার ব্যবসা দেখার লোক নেই, তাই বেশ কিছু বাস বিক্রি করে দিয়েছি। যে কারণে বেশি বাস দিতে পারিনি। তবে আমার এই ৫০টি বাস যেন সঠিকভাবে সার্ভিস দিতে পারে, আমি সে বিষয়ে লক্ষ রাখব।’ 

ডিপজল আরো বলেন, ‘আমি সব সময় ইজতেমায় অংশ নিই। এবারও যাব। আল্লাহ যদি তখন পর্যন্ত সুস্থ রাখেন। আপনারা জানেন আমি কিছুদিন আগে অসুস্থ ছিলাম। এখন ভালো আছি। আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন।’

Categories
শিরোনাম

এবার আখেরি মোনাজাত হবে বাংলায়

ভারতের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভিকে নিয়ে বিতর্ক উঠার পর তিনি এবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না। ভারতের মাওলানা জোবায়রুল হাসান মারা যাওয়ার পর মাওলানা সাদই বিশ্ব ইজতেমার হাল ধরেছিলেন। বিশ্ব ইজতেমায় উর্দুতে বয়ান করা ছাড়াও তিনি একই ভাষায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করতেন। কিন্তু এবার আখেরি মোনাজাত ও হেদায়াতি বয়ান দুটোই হবে বাংলায়।
বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বী প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, এবার বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের কাকরাইলের মাওলানা হাফেজ জোবায়ের। আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়তি বয়ান হয়, তা করবেন বাংলাদেশি মাওলানা আব্দুল মতিন।
রোববার বেলা ১১টায় আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল শুক্রবার রাতে তাবলিগ জামাতের মুরুব্বীদের নিয়ে এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বি প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন।
তবে তাবলিগ জামাতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বি বলেন, আখেরি মোনাজাত হবে আরবিতে কিংবা উর্দুতে।
গতকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পর শুরু হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দফা। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্বের ইজতেমা। চারদিন বিরতি দিয়ে ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব, ২১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ইজতেমা।
প্রায় ১০০ বছর আগে ইসলামের দাওয়াতি কাজকে ত্বরান্বিত করতে মাওলানা ইলিয়াছ শাহ (রহ.) দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে তাবলিগের কাজ শুরু করেন। মাওলানা ইলিয়াছের (রহ.) ছেলে মাওলানা হারুন (রহ.)। তারই ছেলে হলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী।
২০১৫ সাল থেকে মাওলানা সাদ আখেরি মোনাজাত পরিচালানা করে আসছেন। এর আগে তিনি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে শুধু তাবলিগের বয়ান দিতেন।
Categories
স্বাস্থ্য পরামর্শ

এক সপ্তাহে ১০ কিলোগ্রাম ওজন ঝরাবে সেদ্ধ ডিম!

এক সপ্তাহে ১০ কিলোগ্রাম ওজন ঝরাবে সেদ্ধ ডিম!

মেদ কমানোর জন্য অনেক কিছু করি আমরা। কখনও কঠিন ডায়েট, তো কখনও সকাল হলেই দৌড়, জিমে গিয়ে নানা ব্যায়াম। তবুও ফলাফল শূন্য। কোনও এক্সারসাইজ, কোনও ডায়েটই কাজে সমস্যার সমাধান করতে পারছে না।
তবে আপনার এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে মাত্র সেদ্ধ ডিম। চিকিৎসকরা বলছেন, এক সপ্তাহে ১০ কিলোগ্রাম ওজন কমাতে সাহায্য করবে সেদ্ধ ডিম। তবে শুধু এই ডিম সেদ্ধ খেলেই হবে না। রয়েছে এর আরও নানা নিয়ম কানুন।
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে রইলো আপনাকে যেসঅব নির্দেশিকা মেনে চলতে সেই সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা-
সোমবার-
ব্রেকফাস্টঃ একটা ফল, ২ টো ডিম সেদ্ধ
লাঞ্চঃ ফল, পাউরুটি,
ডিনারঃ স্যালাড, গ্রিলড চিকেন
মঙ্গলবার-
ব্রেকফাস্টঃ একটা ফল, ২ টো ডিম সেদ্ধ
লাঞ্চঃ গ্রিন স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন,
ডিনারঃ দুটো সেদ্ধ ডিম, স্যালাড ও কমলালেবু
বুধবার-
ব্রেকফাস্টঃ একটা ফল, ২ টো ডিম সেদ্ধ
লাঞ্চঃ চিজ, টমাটো, পাউরুটি
ডিনারঃ স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন
বৃহস্পতিবার-
ব্রেকফাস্টঃ ফল ও দুটো সেদ্ধ ডিম
লাঞ্চঃ ফল
ডিনারঃ স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন
শুক্রবার-
ব্রেকফাস্টঃ ফল ও দুটো সেদ্ধ ডিম
লাঞ্চঃ ফল
ডিনারঃ স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন
শনিবার-
ব্রেকফাস্টঃ ফল
লাঞ্চঃ এক কাপ ভাত, দুটো ডিম সেদ্ধ, একটু মাখন
ডিনারঃ স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন
রবিবার-
ব্রেকফাস্টঃ ফল ও দুটো সেদ্ধ ডিম
লাঞ্চঃ ফল
ডিনারঃ স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন