Categories
Latest Articles Public Writing

You have to listen to the child’s mind- Kamal Shahriar


১৯ জুলাই (২০১৬) একটি অনুষ্ঠানের ভাষণে অভিভাবক-দের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিজের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সময় কাটান। তাদের মনের কথাটা শোনার চেষ্টা করুন। তাদের সঙ্গ দিন। তাদের কী চাহিদা সেটা জানা, তাদেরকে আরও কাছে টেনে নেওয়া, তাদের ভালো-মন্দ, সমস্যা দেখা, উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা যেন বাবা-মায়ের সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারে সে সুযোগটা তাদের দেওয়া।
অর্থাৎ সন্তানেরা কীভাবে চলছে, কী করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে-সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টিদেওয়ার জন্য অভিভাবকদের তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। জঙ্গিবাদ নির্মূলে সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রত্যেকটা মানুষকে সচেতন হতে হবে।
প্রত্যেকের ভেতর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি করে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। ধর্মের নামেধর্মান্ধতাদিয়ে যুব সমাজকে বিভ্রান্তির পথে চালিত করলে তা থেকে সঠিক জীবনে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সন্তানদের সঙ্গে অভিভাবকদের সম্পর্ক আরও নিবিড় ও দৃঢ়করার পাশাপাশি তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
আমাদের শক্তি আমাদের তারুণ্য। এদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৫ কোটি তরুণ। দেশের অগ্রগতিতে তাদের অবদান দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। এরা মিথ্যা শক্তিকে যেমন গুঁড়িয়ে দিতে পারে তেমনি ভূমিকা রাখতে পারে বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ গড়তে। জাতির কান্ডারির ভূমিকায় শক্ত হাতে হাল ধরার ক্ষমতাও এদের আছে।
কোনো অন্যায় কিংবা মিথ্যা শক্তির কাছে এরা কখনো মাথা নত করেনি আর করবেও না কোনোদিন। বাংলাদেশে এখন প্রতি তিনজনে দুজনই উপার্জনক্ষম। নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ায় জাতীয় সঞ্চয় বেড়েছে। অর্থনীতি সবল হয়েছে। বাংলাদেশে এখন ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণের সংখ্যা পৌনে পাঁচ কোটি। এর সঙ্গে ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী যুব জনসংখ্যাকে ধরলে বলা যায় যে জনসংখ্যার তিন ভাগের দুই ভাগই টগবগে তরুণ।
বিপুলসংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীর উন্নতি করারতীব্র আকাঙ্ক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে। এটা একটা সামাজিক-পুঁজি। তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত ও দক্ষ করে তোলার দায়িত্ব পালন করছে বর্তমান সরকার। একথা ঠিক মেধা আর যোগ্যতার জোরেই বিশ্ব মানচিত্রের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের নাম। এদেশের সীমিত সম্পদ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাবই।
কিন্তু দেশের এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বিপদ ঘনিয়ে এসেছে। ধর্মীয় উগ্রপন্থিরা সক্রিয় হয়েছে শিক্ষিত যুব সমাজকে তাদের জেহাদি কাজে ব্যবহারের জন্য। জুলাই মাসের ঘটনা থেকে বোঝা যায়, ইতোমধ্যে তারা সফলও হয়েছে। কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শক্ত আস্তানা গেড়েছে তারা। সেখানকার শিক্ষার্থীরা ইসলামের শত্রু চিনে দেশের মুক্তমনাদের হত্যা করেছে।
মাদকাসক্তের মতো জঙ্গি আসক্তিতে বর্তমান যুব সমাজ মরণ খেলায় মেতে উঠেছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলো বিভিন্ন ধারায় বিভক্ত হয়ে সংগঠিত হচ্ছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সৃষ্টিতে তরুণ সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
গণজাগরণ মঞ্চকে কেন্দ্র করে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে তরুণ সমাজের সোচ্চার হওয়ার পটভূমি প্রশংসিত হয়েছে। তবু দেশে বর্তমানে ৪৭ শতাংশ শিক্ষিত বেকার রয়েছে এবং দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ায় চাহিদা মোতাবেক সুষ্ঠু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে না। এর সঙ্গে জড়িত আছে বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে মন্দা অবস্থা এবং নতুন কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সুযোগ না হওয়া।
পশ্চিমা বিশ্বে যেখানে প্রতিবছর নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে চাকরি খুঁজতে তরুণদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বেকার সমস্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্থ-সামাজিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হচ্ছে। সন্ত্রাস, হত্যা ও রাহাজানি বাড়ার সঙ্গে বেকারদের সংশ্লিষ্টতা আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা। জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর টার্গেটেও পরিণত হয়েছে এসব বেকার কিন্তু শিক্ষিত যুব সমাজ। যুব সমাজকে জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত থেকে রক্ষার জন্য জাতীয় পর্যায় থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো এখন স্বীকার করতে বাধ্য যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখভাগে রয়েছে বাংলাদেশ। ইসলামিক স্টেটস (আইএস) প্রতিরোধে বৈশ্বিক জোটের অংশীদার না হলেও বাংলাদেশ এই হুমকি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া সহিংস জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে কৌশলগত যোগাযোগ স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।
এদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাদ্রাসা শিক্ষার ওপর নজরদারি করছে এবং মানসম্পন্ন জাতীয় পাঠ্যক্রম তৈরি করছে, যাতে ভাষা শিক্ষা, গণিত ও বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একইসঙ্গে অষ্টম ধাপ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষায় ন্যূনতম মানের ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়গুলো পড়ানো বাধ্যতামূলক করেছে। এমনকি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিতে ইমাম ও আলেমদের নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে।
সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে পূর্ণরূপে সক্রিয় রয়েছে বাংলাদেশ। জঙ্গিগোষ্ঠী দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার রয়েছে ব্যাপক সাফল্য। তবে সন্ত্রাসের কারণে বিশ্ব আজ নানাভাবে হুমকির সম্মুখীন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ এককভাবে কোনো দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত সহযোগিতা, যা বাংলাদেশ করে যাচ্ছে।
সন্ত্রাস সম্পর্কে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী হিসেবে অভিনন্দিত হয়েছে বর্তমান সরকার। জীবনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা বিধানের অধিকার রয়েছে প্রত্যেকের। জঙ্গিগোষ্ঠী কর্তৃক কাউকে নৃশংস অত্যাচার ও খুন করা স্পষ্টত মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত পর্যায়। তাদের নির্মূল করা এবং যুব সমাজকে বাঁচাতে যা করণীয় তার সবই করতে হবে সরকারকে।
২ জুলাই জিম্মি সংকট মোকাবিলার পর এখন যুব সমাজকে জঙ্গিবাদের মুঠো থেকে বের করে আনা সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তাই জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার জন্য বিপথগামী যুব সমাজকে যথার্থ পথে ফিরিয়ে আনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাত্ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও পারিবারিক বন্ধনই জঙ্গিবাদ মুক্ত স্বদেশ গড়তে সহায়ক হবে।
লেখক : কামাল শাহরিয়ার, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ লেখক পরিষদ, মাগুরা জেলা। 
Categories
Latest Articles Public Writing

However, the first agenda MPO teachers Increment

জুলাই মাসের এমপিও’র সভা গতকাল বৃহস্পতিবার মাউশি’তে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের একমাত্র শিক্ষা বিষয়ক অনলাইন পত্রিকা দৈনিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশের আপামর শিক্ষক-কর্মচারীরা সংবাদটি জানতে পেরেছেন । আসলে এ পত্রিকাটি গোটা দেশের এমপিও শিক্ষকদের পরম বিশ্বস্ত একমাত্র সংবাদ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা ও শিক্ষকদের নানা সংবাদ ঘন্টায় ঘন্টায় আপডেট দিয়ে পত্রিকাটি এ দেশের শিক্ষকদের বলা যায় এক রকম বাঁচিয়ে রেখেছে।
এই সভাটি নানা কারণে গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। সারা দেশের প্রায় পাঁচ লক্ষ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার-পরিজন এবং শুভাকাঙ্খিরা এর দিকে চেয়ে রয়েছেন।
এ জুলাই মাসে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলের সকল সুপারিশ পুরোপুরি কার্যকর হতে যাচ্ছে। তাই সঙ্গত কারণে জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভু্ক্ত সকলে এ মাসের দিকে তীর্থের কাকের মতো তাকিয়ে আছেন।
সরকারি স্কুলগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীগণ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ন্যায় সুস্পষ্টভাবে জানেন যে, এ জুলাই মাস থেকে তাঁরা কি কি সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। কিন্তু, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অনেকটা অন্ধকারে। তাঁরা জানেন না, তাঁরা কি কি পেতে যাচ্ছেন। অবশ্য তাঁরা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে, এ জুলাই মাসে তারা বাড়ি ভাড়া ১০০০ টাকা ও চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা করে পাবেন। পাঁচ গুণকে দশগুণ আর তিনগুণকে পাঁচগুণ করা আর কী! কিন্তু, যারা তা কার্যকর করবেন-জানিনে, তাদের সেটুকু মনে আছে কী-না?
অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষিত হবার পর আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সকল এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে এ মর্মে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় তাঁরা ও নতুন স্কেলের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন। যারা এমপিও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ছাড় দেন, তারা মাননীয় মন্ত্রীর কথায় কতটুকু আমল দেবেন, কে জানে?
প্রতি বছর জুলাই মাসে সকলের ৫% বর্ধিত বেতন সংযুক্ত হবার শর্তে নতুন বেতন স্কেলে টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও ইনক্রিমেন্টের ধারণা পাল্টে দেয়া হয়েছে। এমপিও শিক্ষকদের এমপিও শীটে একটি খোঁড়া ও মৃতপ্রায় ইনক্রিমেন্ট ছিল। ৫% বর্ধিত বেতন কার্যকর করার জন্য সেটি উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু, এমপিও শিক্ষকদের যারা দেন, তারা যদি ভুলে যান? সবিনয়ে তাদের স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য আজকের এ লেখার ক্ষুদ্র প্রয়াস। সকলে প্রত্যাশা করেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণাটি মাথায় রেখে এমপিও কমিটির সম্মানিত সদস্যগণ এই সভায় জুলাই মাসের এমপিওতে যাতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হন, সেটি নিশ্চিত করবেন। অনুগ্রহপূর্বক কোনো ভাবেই যেন ইনক্রিমেন্টের বিষয়টি বৈশাখী ভাতার মতো কেউ ভুলে না যান। আজকের সভায় প্রথম এজেন্ডা ধরে নিয়ে এ বিষয়টির যেন সঠিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অন্যথায়, সারা দেশের এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের অসন্তোষের দাবানল কেবলি বাড়তে থাকবে।
লেখক : কামাল শাহরিয়ার, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ লেখক পরিষদ, মাগুরা জেলা।
Categories
Latest Articles Public Writing

Life is a drama stage, I only Actor & Audience- Kamal Shahriar

জীবনটাকে একটা নাটকের মঞ্চ বানিয়ে সেখানে নাটক করি অভিনয় করতে চাই, পাবনা ভাল চাকুরী যে চাকুরী, পারবেনা জীবনের আহ্বানে সারা দিতে। কি হবে আমাকে দিয়ে রাজনীতি করতে গেলে মানুষের কাছে ছোট হতে হতে এমন মনে হয় যেন আমাদের তুলনায় বনের পাখিরা অনেক সুন্দর থাকে অন্তত যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতে পারে স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারে। চাকুরী করতে গেলে ঘুষ দিতে হয়, তাহলে আমরা যাব কোথায় ? সোনার দেশে সোনার ছেলে হয়ে আর কতদিন ঘুম পাড়ানি গান শুনবো । ছোট বেলা থেকে খুব স্বপ্ন বড় হলে নাটকে অভিনয় করব। অনেক বড় মাপের শিল্পী হব। আমাকে নিয়ে দেশ বিদেশের পত্র-পত্রিকা লেখা লেখি করবে, তা আর হল কই। লেখা লেখি করা অভ্যাস ছোট বেলা থেকেই। সহস্রাধিক কবিতা,গান লিখলাম সুর করলাম উপন্যাস লিখালাম মঞ্চ নাটক করলাম তবুও মনে হয় আসল নাটকের কিছুই করিনি । তাইত আজ আমরা সমাজের বোঝা। কেউ কি নেই যে আমাদের এই অভিশাপের হাত থেকে বাঁচাবে। বাবার তাড়া মায়ের বকুনি খেয়ে আমরা যারা দু’কলম লেখা পড়া শিখেছি তা যেন আজ অভিশাপ হয়ে দারিয়েছে । তাইত মন চাইছে জীবনটাকে একটা নাটকের মঞ্চ বানিয়ে সেখানে নাটক করি। অন্তত এই ভেবে শান্তি পাব যে আমি একজন অভিনেতা। আমার নাটক কেউ না দেখলেউ আমি নিজে দেখি। 

There are already acting as a stage drama to life, like a job that would better job, can not pay the rest of the call. What will happen to me when politics seems to people who might be smaller than us, at least where there is a beautiful forest birds may be able to speak freely. When it comes to employment, pay, then where will we go? How long was the golden boy golden hear lullabies. From the very childhood dream of acting, then I will play. Artists will be much larger. Newspapers will write stories about me at home and abroad, where it is. Since childhood habit of writing to write. Thousands of poems, novels, songs and I write music, I still think the original stage play likhalama drama did not do anything. Today we perceive taita society. There is no one to protect us from the curse. Chase’s mother told the father to eat, so today we have learned to read and write dukalama who has never been a curse. Taita mind trying to live my life to build a theater stage plays it. At least I thought that peace would be an actor. I have no drama dekhaleu I see myself.
Please realize to understand this topics.
Kamal Shahriar
Categories
Latest Articles Public Writing

রাষ্টপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলরের বরাবর একটা খোলা চিঠি।

মাননীয় রাষ্ট্রপতি,
পত্রের প্রথমে আমার সালাম নিবেন। সরাসরি
আপনার ঠিকানায় চিঠি লিখার দুঃসাহস হয়ত
আমার এখনও হয় নি। আবার আপনার কাছে না
লিখেও পারছিনা।
বাংলাদেশের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে
শিক্ষাও আছে। দেশে বর্তমানে স্বাক্ষরতার
হার ৫৭.৯%, তবে উচ্চ শিক্ষার হার তার
অর্ধেকেরও কম।
একটি দেশকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে উচ্চ
শিক্ষার কি পরিমাণ দরকার তা বিশ্বের
অন্যান্য দেশের দিকে তাকালেই বুঝা যায়।
বাংলাদেশের এক কোটি মানুষ বিদেশ থেকে
যে পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠায় শ্রীলংকার তিন
লাখ শ্রমিক তার তিন গুণ রেমিটেন্স আহরণ করে।
এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র তাদের উচ্চ
শিক্ষিতের জন্য। কারণ তাদের দেশে
শিক্ষিতের হার ৯৮.১%।
শিক্ষার মর্ম বুঝতে পেরেই নেপোলিয়ান
বলেছিলেন “আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও,
আমি তোমাদের একটা শিক্ষিত জাতি দিব।”
এটা কেন বলেছিলেন তার মর্মারথ এবং সারকথা
হয়ত সবাই বুঝবে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রত্যেক দেশে যত বেশি
সুশিক্ষিত লোক থাকবে সেই দেশ তত বেশি
উন্নত হবে এটাই বিজ্ঞান সম্মত কথা। ভনিতা
না করে আসল কথায় আসি। আমি একজন প্রাইভেট
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাবা-মার তিন
সন্তানের মধ্যে আমি সবার বড় এবং পরিবারে
আয়ের উৎস বাবা একজন। যা বেতন পান তা দিয়ে
বাবার খরচ এবং পরিবারের জন্য ব্যয় হয়ে যায়।
অনেক কষ্টে টাকা সাশ্রয় করে কিভাবে জানি
আমাকে প্রতি মাসের ১০-১২ তারিখের মধ্যে
টিউশন ফি গুলো পাঠিয়ে দেয়। বাকি গুলো
নিজে ম্যানেজ করে নিই। তার পরও বাবা ফোন
করে বলে টাকা কি আর লাগবে, লাগলে বল।
হায়রে সামান্য কয়টা টিউশন ফির টাকা দিতে
(অর্থমন্ত্রীর মতে) অবস্থা বেগতিক তার উপর
আরও ভ্যাট। আসলে পৃথিবীর সমস্থ বাবাই হয়ত
প্রত্যেক সন্তানকে এমন বলবে।
সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ৭.৫%
ভ্যাট আরোপ করেছে যার প্রভাব পড়েছে
আমাদের মত দরিদ্র বাবার সন্তানের উপর। আর
তা গিয়ে পড়েছে আমাদের বাবার উপর।
নিজের ইচ্ছা ছিল উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দেশের
কাজে কিছুটা হলেও ব্যবহৃত হব। কিন্তু সেই স্বপ্ন
কিছুটা বিলীন হতে শুরু করেছে সামান্য কয়টা
(অর্থমন্ত্রীর মতে) টাকার সাথে ভ্যাট দিতে
পারব না বলে!
মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমার যত টুকু মনে পড়ে
ক্লাস ওয়ানে যখন ভর্তি হই তখন আমরা ছাত্র
ছাত্রী ছিলাম দুই শতাধিক। এস, এস, সি পাশ
করার সময় তা দাঁড়িয়ে হয় ৭০জন এবং শেষ পর্যন্ত
উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে আমরা যখন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন সংখ্যাটার
অবস্থা বড়ই নাজুক। তা নেমে হয়ে গেছে বিশের
কিছু বেশি।
কিছু বুঝতেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি?
ক্লাস ওয়ানে দুই শতের অধিক আর উচ্চ শিক্ষা
নিচ্ছি মাত্র বিশের কিছু বেশি! বাকিরা
কোথায়?
তারা আমাদের থেকে কোন অংশে কম ছিল না।
তারাও আমাদের মত আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে
পারত। পারেনাই বাবা লেখাপড়ার খরচ বহন
করতে না পারার কারণে। তারা সবাই আজ
চাকরি করছে বাইরে থেকে রেমিটেন্স পাঠিয়ে
দেশের কাজে কিছুটা হলে অবদান রাখছে।
তরুণ কবি সুকান্তের মতে ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী
গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী যেহেতু
শিক্ষাকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে
দেখানো হয়েছে তাই রীতিমত শিক্ষা ক্ষেত্রে
ভ্যাট কোন দিনই বৈধ হতে পারে না। কিন্তু
বাংলাদেশ সরকার সেই আইনের তোয়াক্কা না
করে সরাসরি পণ্যের মত শিক্ষাতেও ৭.৫%ভ্যাট
বসিয়ে দিল।
আজ ভ্যাটটা যে প্রবর্তন করেছিল তাকে গালি
দিতে ইচ্ছা করছে কিন্তু পারছিনা। কারণ
একটাই দোষটা তো আবিষ্কারকের না দোষটা
ব্যবহার কারীর।
দেশে যথেষ্ট পরিমাণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও
কলেজ সৃষ্টি করতে না পারা রাষ্ট্রের চরম
ব্যর্থতা। সরকার যেখানে ব্যর্থ প্রাইভেট
বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে সফল। এ জন্য সরকার
শিক্ষার ওপর ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট ধার্য করছে। এ
পদক্ষেপ দেশকে মেধাশূণ্য করার পরিকল্পনা
ছাড়া আর কিছুই নয়।
সেই বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক
ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
অবদান ছিল। আজও আমরা এত এত আন্দোলন
করতেছি এই আন্দোলন কারও বিরুদ্ধে নয়। এই
আন্দোলন আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি আজ বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশে এবং
দেশের ভিতরে যে অর্জন করতেছে তা সত্যিই
ঈর্ষণীয়ও বটে।
বিশ্বের ২৫টি দেশের এমনই ৮০ জন শিক্ষার্থীকে
এক বছরের বৃত্তি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ছিলেন চারজন।
সদস্যদের মধ্যে হলেন চট্টগ্রামের বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব
উইমেনের স্নাতক সায়মা সুলতানা।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল
সায়েন্স বিভাগের এ ফারজানা মুবারক
কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন
‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ পুরস্কার।
এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই
প্রথম রোবট আবিষ্কার করেছিল। এই বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ গুগল, টুইটারসহ বিভিন্ন
বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কাজ করে
যাচ্ছে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি সরকার বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর যে ভ্যাট আরোপ করেছে
তা নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল
শিক্ষার্থীরা আজ চোখে সর্ষে ফুল দেখছে।
কারণ এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০শতাংশ
শিক্ষার্থীই দরিদ্র ঘরের সন্তান।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি আজ আমরা চারিদিকে চরম
হতাশা দেখতেছি। দোকানে নাস্তা করার পর
যখন এক টাকা ভাংতি নাই বলে দোকানদার পরে
নিতে বলে তখন আমরা একটা চকলেট নিয়ে আসি
বা কিভাবে ঐ এক টাকা নিয়ে আসা যায় তার
ফন্দি বের করতে মশগুল হয়ে যাই। সেই হিসাবে
আমরা একশ টাকায় কিভাবে সাড়ে সাত টাকা
দিব আপনিই বলেন।
সবশেষে আপনার কাছে একটু বলতে চাই আমাদের
উপর থেকে অনাকাঙ্কিত এবং অবৈধ ৭.৫% ভ্যাট
আরোপটা তুলে নিতে সহায়তা করবেন বলে আসা
রাখি।

ইতি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন অভাগা ছাত্র
কামাল শাহরিয়ার

Categories
Public Writing

ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা : প্রস্তুতি ও পরামর্শ

নম্বর বণ্টন :
ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষার নৈর্ব্যক্তিক ও রচনামূলক উভয় ধরনের প্রশ্নই থাকে। পরীক্ষার পূর্ণমান ২০০ ও সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ইংরেজিতে ৭৫, গণিতে ৫৫, বাংলা ৪০ ও সাধারণ জ্ঞানে ৩০ নম্বর থাকবে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ইংরেজি ও গণিতে ৫ নম্বর করে কমিয়ে সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর বাড়ানো হয়েছে।
লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস :
বাংলার প্রস্তুতির জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকর্তৃক প্রকাশিত ষষ্ঠ শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক চারুপাঠের সর্বশেষ সংস্করণের সকল গদ্য ও পদ্য পড়তে হবে।
ব্যাকরণ অংশে ধ্বনি ও বর্ণ, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান, সন্ধি, শব্দ, পদ, পদের শ্রেণীবিভাগ, পদ পরিবর্তনের নিয়মাবলি, বিপরীত শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ, সংখ্যাবাচক শব্দ, লিঙ্গ, বচন, কারক, ক্রিয়ার কাল, এক কথায় প্রকাশ, বিরাম চিহ্ন, বাগধারা পড়তে হবে। পাশাপাশি ভাবসম্প্রসারণ লিখন এবং ১০ থেকে ১৫ বাক্যের যুক্তিভিত্তিক অনুচ্ছেদ, সারাংশ ও সারমর্ম থাকবে।
ইংরেজির প্রস্তুতির জন্য ষষ্ঠ শ্রেণীর English For Today (Text Book) বইয়ে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষার জন্য উপযোগী অনেক লেসন আছে। তাই শিক্ষার্থীদের উচিৎ হবে পাঠ্যবইটি ভালোভাবে পড়া।
Grammar অংশে sentence, parts of speech, gender, number, punctuation and capitalization, subject-verb agreement, transformation, contractions, re-arranging, spelling, phrases and idioms, paragraph, story writing, comprehension, argumentative essay পরীক্ষায় থাকতে পারে। এ ছ্ড়াও Free hand english writing-এর উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।
গণিতের প্রস্তুতির জন্য ষষ্ঠ শ্রেণীর বইয়ের পাশাপাশি বিগত সময়ের প্রশ্নগুলো থেকে অঙ্ক অনুশীলন করতে হবে। ক্যাডেট কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে সরবরাহ করা সিলেবাস থেকে দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণীর গণিত বইয়ের পাশাপাশি ‘বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গণিত’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সাধারণ জ্ঞান অংশের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, কর্মমুখী শিক্ষা ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। ব্যক্তিত্ব যাচাইয়ের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা থেকে প্রশ্ন থাকতে পারে। বুদ্ধিমত্তা ও চলতি ঘটনায় ভালো করতে পারলে সাধারণ জ্ঞানে ভালো ফল আশা করা যায়।