দুটি কথা

সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের নিমিত্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাহিদা পত্র প্রেরণ করতে বলে। চাহিদা পত্র প্রেরণের শেষ দিন ছিল গত ২৫ জুন। চাহিদা পত্র প্রেরণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ হাজার শিক্ষকের জন্য। এদের মধ্যে আবার অনেক ননএমপিও প্রতিষ্ঠান ও জনবল কাঠামোর বাইরের শিক্ষক নিয়োগের জন্যও চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। সুতরাং, এমপিওভুক্ত শূন্যপদের সংখ্যা আরও অনেক কম হবে।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে ১-১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা আগামী ২০ জুলাই থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। তারপর আবেদনকৃত প্রার্থীদের ঐচ্ছিক নাম্বারের ভিত্তিতে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে। একজন প্রার্থী উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবে।

১-১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখের মতো। সবার মধ্যে একটা শংকা কাজ করছে নিয়োগ স্বচ্ছ হবে কি না। যদি মেধাতালিকা প্রকাশ না করা হয়  তাহলে উপজেলা বা জেলার মধ্যে কার অবস্থান কততম তা কেউ জানতে পারবে না। ফলে নিয়োগে অস্বচ্ছতার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়।

সুতরাং, নিয়োগ স্বচ্ছতার জন্য নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দাবি হচ্ছে আগে উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক  ঐচ্ছিক পরীক্ষার নাম্বারসহ ১-১২ তম পর্যন্ত সমন্বিত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হোক। তারপর নিয়োগ দেয়া হোক। তাহলে প্রার্থীরা বুঝতে পারবে মেধা তালিকায় তাদের অবস্থান কোথায় এবং নিয়োগ প্রাপ্তির বিষয়টি তাদের কাছে পরিস্কার হবে। বিষয়টি এনটিআরসিএর জন্য খুব জটিল নয় কারণ তাদের কছে তো সকলের ডাটা সংরক্ষিত রয়েছেই।

সুতরাং, তারা ইচ্ছা করলেই এ কাজটি করতে পারে।  অথবা, আগামী ১০ অগাস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনের পর পুনরায় ঐচ্ছিক বিষয়ে ১০০ নাম্বারের পরীক্ষা নিয়ে মেধাতালিকা করে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।কারণ, বিগত দিনের নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে কখনো বলা হয়নি ঐচ্ছিক নাম্বারের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। যারফলে অনেক মেধাবীরাই প্রস্তুতি বিহীন শুধু পাস নাম্বারের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের মধ্যে একটা ধারণা ছিল পরীক্ষায় পাস করলেই যেকোনো প্রতিষ্ঠানে অবেদন করে নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করলেই হবে। সেখানে নিবন্ধন পরীক্ষার নাম্বারের কোনো মূল্য ছিল না।

আশাকরি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।