Categories
Blogger Tips

বিদেশীদের অবস্থা ও জীবন যাত্রার বাস্তব চিত্র

▶এরা সেই প্রবাসী, যাদের কাছে আপনারা দামী মোবাইল চান।
= আর এরা সাদা-কালো ডিসপ্লে মোবাইল দিয়ে বছরের পর বছর কাটিয়ে দেয়।
▶এরা সেই লোক, যারা ভোর ৫ টায় কাজের জন্য বের হয়।
= আর আপনারা, ঠিকই নাক ঢাকিয়ে সকাল দশটা পর্যন্ত ঘুমান।
▶এরা সেই লোক, যারা সকালের নাস্তা পলিথিনের ব্যাগে করে খাবার নিয়ে যায়।
= আর আপনারা সাহেবের মতন খাবার টেবিলে বসে নাস্তা করেন।
▶এরা সেই লোক যারা ৫০+ ডিগ্রি (°C) রোদের মধ্যে কাজ করে, বিশ্রামের জন্য যাদের ঠাই হয় বালুর মধ্যে খেজুর গাছের নিচে।
= আর আপনারা ঠিকই এসি/ফ্যান চালিয়ে আরামে বিশ্রাম করেন।
▶এরা সেই লোক যারা সন্ধ্যায় রুমে আসতে ৩শ গজ লম্বা লাইন দাড়াতে হয় গাড়িতে উঠার জন্য।
= আর আপনারা CNG-AC গাড়ি ভাড়া করে বাড়িতে আসেন।
▶এরা সেই লোক যারা সারা দিন এতো কষ্ট করে সন্ধ্যায় কাজ শেষে রুমে গিয়ে ৫০ ডিগ্রি (°C)
গরমের মধ্য রান্না করে খেতে হয়।
= আর আপনারা কাজের বুয়া দিয়ে রান্না করিয়ে টেবিলে গোছানো খাবার খেতে পছন্দ করেন।
▶এরা সেই লোক যারা সময় বেধে বাড়িতে কল দেয়, টাকা যাতে বেশি খরচ না হয়।
= আর আপনারা ঠিকই দিন-রাত বেহুলা সুরে বিনা প্রয়োজনে কথা বলে যান।
▶এরা সেই লোক, যারা একবার অসুস্থ হলে ডাক্তারের ভিজিট এবং অনেক টাকার ঔষধের কথা চিন্তা করে, আল্লাহর উপর ভরসা করে বসে থাকে।
= আর আপনার পেটে ব্যাথা হলে ঠিকই ভালো ডাক্তারের কাছে যান।
▶এরা সেই লোক যারা অতি কষ্টে দিন কাটালেও বাড়িতে কাউকে বুঝতে দেয়না, মুখে মুচকি হাসি আর অন্তরে ব্যাথা নিয়ে থাকে সব সময়। তবু এরা আপনাদের সুখি রাখতে চায়।
=আর আপনারা একবার ও কি বুঝার চেষ্টা করেন, প্রবাসে সে কত কষ্টে আছে?
▐▐ উৎসর্গঃ চোখের জল মুচে হাঁসতে থাকা প্রতিটা প্রবাসী ভাই-বোন দের।▐▐
Categories
Blogger Tips

যারা নিয়মিত "ফেসবুকে বসেন, সময় কাটান আর সক্রিয় থাকেন"

যারা নিয়মিত “ফেসবুকে বসেন, সময় কাটান আর সক্রিয় থাকেন” তারা নিশ্চয়ই একটা বিষয় খেয়াল করেছেন যে, কিছু “উল্লুক” শ্রেণীর মানুষ আজকাল ফেসবুকে কিছু আজব, অবাস্তব, চরম আপত্তিকর আর চরম কুরুচিপূর্ণ বিষয় নিয়ে একটি প্রশ্ন করে আপনাকে মতামত/মন্তব্য প্রদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। আর কিছু “বলদ” ঐসব “জঘণ্য প্রশ্নের আরো জঘণ্য” জবাবও দেয়।

মাকে নাকি বৌকে বেশী ভালোবাসেন তা জানতে চায় ।

ইচ্ছে করেই একটা মেয়ের ছবিকে “ফটোশপ” এর মাধ্যমে চরম কুৎসিত বানিয়ে তাকে তথাকথিত ধর্মীয় পোষাক পড়িয়ে পার্শ্বে খুবই সুন্দরী একজন সেলিব্রেটির ছবি দিয়ে জানতে চায় কাকে বেশী পছন্দ করেন ?

অসম (বিখ্যাত এর সাথে অখ্যাত আর চরম বিতর্কিত) রাজনৈতিক নেতাদের ছবি দিয়ে জানতে চায় কাকে বেশী ভালোবাসেন ?

একজন বিখ্যাত খেলোয়াড়ের সাথে একজন অভিনেতার ছবি দিয়ে জানতে চায় কে সেরা ?

২/৩/৪ টি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীক দিয়ে ফেসবুকে ভোট দেয়ার জন্য আহবান জানায়।

একজন মহীয়সী নারীর সাথে একজন “পর্ণ ষ্টারের” ছবি দিয়ে জানতে চায় কাকে বেশী ভালোবাসেন ?

মা, স্ত্রী নাকি টাকা—জানতে চায় কোনটি আপনার বেশী পছন্দ ও প্রয়োজন ?

“ধর্মগ্রন্থের” সাথে ফেসবুক/টুইটার/অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম—–জানতে চায় কোনটি বেশী প্রিয় ?

এছাড়া, রেললাইন কিংবা রাস্তায় কিছু একসিডেন্টের খুবই বীভৎস, খুবই রক্তাক্ত, মাথা কিংবা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ কাটা খুবই ভয়ংকর (কয়েকটি সত্যি তবে অধিকাংশই ফটোশপে বানানো) ছবি পোষ্ট করে হয়তো “বিকৃত আনন্দ” লাভ করে ঐসব হিংস্র জানোয়ারেরা।
মানুষরুপী ঐসব “উল্লুক” কিংবা “জানোয়ারেরা” বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই যে ওপরোল্লিখিত প্রশ্নগুলোর মত আরো অনেক আপত্তিকর বিষয় নিয়ে প্রশ্নগুলো করে তাতে কোনো সন্দেহই নেই। সুস্থ্য মানসিকতা, বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষ এতে কোনো সাড়া দেয়না এটা নিশ্চিত। তবে, যারা সাড়া দেয় তারা বেশী জঘণ্য নাকি যারা পোষ্টগুলো দেয় তারা বেশী নোংরা আর জঘণ্য মানসিকতার তা আমি ভেবে পাইনা। আমার মনে হয় বিষয়টি নিয়ে আপনারাও আমার মতই দ্বিধায় আছেন।
Categories
Blogger Tips

প্রধান শিক্ষকের কাছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের চিঠি

মাননীয় মহাশয়,
আমার পুত্রকে জ্ঞানার্জনের জন্য আপনার কাছে প্রেরণ করলাম. তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন – এটাই আপনার কাছে আমার বিশেষ দাবি.
আমার পুত্রকে অবশ্যই শেখাবেন – সব মানুষই ন্যায়পরায়ণ নয়, সব মানুষই সত্যনিষ্ঠ নয়. তাকে এও শেখাবেন, প্রত্যেক বদমায়েশের মাঝেও একজন বীর থাকতে পারে, প্রত্যেক স্বার্থপর রাজনীতিকের মাঝেও একজন নি:স্বার্থ নেতা থাকে. তাকে শেখাবেন, পাচটি ডলার কুড়িয়ে পাওয়ার চেয়ে একটি উপার্জিত ডলার অধিক মূল্যবান. এও তাকে শেখাবেন, কিভাবে পরাজয়কে মেনে নিতে হয় এবং কিভাবে বিজয়োল্লাস উপভোগ করতে হয়. হিংসা থেকে দুরে থাকার শিক্ষাও তাকে দেবেন. যদি পারেন নিরব হাসির গোপন সৌন্দর্য তাকে শেখাবেন. সে যেন আগেভাগেই এ কথা বুঝতে শেখে – যারা পীড়নকারী তাদেরকেই সহজে কাবু করা যায়. বইয়ের মাঝে কি রহস্য লুকিয়ে আছে, তাও তাকে বুঝতে শেখাবেন.
আমার পুত্রকে শেখাবেন, বিদ্যালয়ে নকল করার চেয়ে অকৃতকার্য হওয়া অনেক বেশি সম্মানজনক. নিজের ওপর তার যেন সুমহান আস্থা থাকে. এমনকি সবাই যদি সেটাকে ভুলও মনে করে.
তাকে শেখাবেন, ভদ্রলোকের প্রতি ভদ্র আচরণ করতে, কঠোরদের প্রতি কঠোর হতে. আমার পুত্র যেন এ শক্তি পায় – হুজুগে মাতাল জনতার পদাঙ্ক অনুসরণ না করার. সে যেন সবার কথা শোনে এবং তা সত্যের পর্দায় ছেকে যেন ভালোটাই শুধু গ্রহণ করে – এ শিক্ষাও তাকে দেবেন.
সে যেন শিখে দু:খের মাঝে কিভাবে হাসতে হয়. আবার কান্নার মাঝে লজ্জা নেই এ কথা তাকে বুঝতে শেখাবেন. যারা নির্দয়, নির্মম তাদেরকে সে যেন ঘৃনা করতে শেখে আর অতিরিক্ত আরাম-আয়েশে থেকে সাবধান থাকে.
আমার পুত্রের প্রতি সদয় আচরণ করবেন কিন্তু সোহাগ করবেন না, কেননা আগুনে পুরেই ইস্পাত খাটি হয়. আমার সন্তানের যেন অধৈর্য হওয়ার সাহস না থাকে, থাকে যেন সাহসী হওয়ার ধৈর্য. তাকে এ শিক্ষাও দেবেন – নিজের প্রতি তার যেন সুমহান আস্থা থাকে আর তখনই তার সুমহান আস্থা থাকবে মানব জাতির প্রতি.
ইতি
আপনার বিশ্বস্ত
আব্রাহাম লিঙ্কন